লন্ডনে চিকিৎসাধীন বেগম জিয়া: পরীক্ষার পর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি বিশেষায়িত ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার রক্ত, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে। চিকিৎসা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আগামী দু'দিনের মধ্যে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় ক্লিনিকের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ডা. জাহিদ জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষার ভিত্তিতে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসকদের সঙ্গে ক্লিনিকের মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) একটি সমন্বিত বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করছেন।

তিনি আরও জানান, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নিরীক্ষা চলছে। আশা করা হচ্ছে, আগামীকাল বা পরশু মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। এরপর চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ ঠিক করবেন বিশেষজ্ঞরা।

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার পাশে রয়েছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। দীর্ঘদিন পরে পরিবারের সান্নিধ্যে সময় কাটানোয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বেশ আনন্দিত দেখা গেছে।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানান, দীর্ঘ সময় পর পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ায় খালেদা জিয়ার মধ্যে আনন্দ কাজ করছে। বিএনপির যুক্তরাজ্যের নেতারা তার খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং নিকটবর্তী থেকে তাকে সাপোর্ট দিচ্ছেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেন, “বেগম জিয়া ঘরোয়া পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া করছেন এবং তাকে বেশ স্বাভাবিক ও আনন্দিত মনে হচ্ছে।”

বুধবার (৮ জানুয়ারি) উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে লন্ডনে পৌঁছান বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে লন্ডনের ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। সেখানে অধ্যাপক ডা. প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন।

পরিবারের সদস্যদের মতে, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে রিলিজ পাওয়ার পর খালেদা জিয়া ছেলে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় কিছুদিন থাকবেন। পরে তিনি সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে বাংলাদেশে ফিরবেন।